শনিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০২:০৭ পূর্বাহ্ন
সুন্দরবনের ২২ হরিণ শিকারের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সাতক্ষীরার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বিষয়টি তদন্ত করে আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সুন্দরবন সংরক্ষণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
সোমবার এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
সাতক্ষীরার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বিষয়টি তদন্ত করে আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে সুন্দরবন সংরক্ষণে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
অন্যদিকে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক, প্রধান বন সংরক্ষক, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং সংশ্লিষ্ট ১৬ জনকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ৯ জুলাই সুন্দরবন থেকে ২২টি হরিণ শিকারের বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে ওই এলাকার বাসিন্দা ও সাপ্তাহিক নয়া বার্তার সম্পাদক আবু বকর জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করেন। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শামছুল হক।
জানা গেছে, গত ৮ জুলাই সুন্দরবনে কোস্টগার্ড ও বনবিভাগ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ২২টি জবাই করা হরিণ উদ্ধার ও ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করে। এ সময় শ্যামনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিটন ও হাবিব, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মামুন ও ফজলুল করিম, কনস্টেবল আলমগীর, সাইফুল্লাহ, উত্তম কুমার, ইন্টারপোলের তালিকাভুক্ত বাঘ শিকারি আ. সাত্তার মোড়ল, তার সহযোগী আনোয়ারুল ইসলাম, মহিবুল্লাহ, আলী হোসেন, মনজু, সামাদ, বিকাশ, আকজান, ইউসুফ এবং বাচ্চুকে আটক করা হয়।
পরে বনবিভাগকে মামলা করতে না দিয়ে শ্যামনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিটন নিজেই বাদী হয়ে দু’টি মামলা করেন। অভিযোগপত্রে ৩টি হরিণ উদ্ধার ও ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ উল্লেখ করা হয়। আসামি করা হয় ৬ জনকে।